স্বল্প সময়ের মধ্যে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি হবে, আশা আলী রীয়াজের

সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে স্বল্প সময়ের মধ্যে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
শনিবার সকালে জাতীয় সংসদের এলডি হলে খেলাফত মজলিসের সঙ্গে বৈঠক শুরুর আগে তিনি বলেন, “আপনারা মতামতগুলোর অনেক ক্ষেত্রে একমত পোষণ করেছেন, অনেক ক্ষেত্রে আপনাদের কিছু ভিন্নমত আছে, বক্তব্য আছে, সেগুলো আমরা শুনব।
“আমরা মনে করি আলাপ-আলোচনার মাধ্য দিয়ে আমরা একটা জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে পারব।”
তিনি বলেন, “তারই অংশ হিসেবে আপনারা আসছেন। অত্যন্ত স্বল্প সময়ের মধ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি। দীর্ঘ সময় দেওয়া যায়নি আপনাদের। কিন্তু আপনারা আন্তরিকভাবে যে মতামতগুলো জানিয়েছেন, সেই মতামতগুলোর ভিক্তিতে আমরা আলোচনাটা শুরু করব।”
বৈঠকের শুরুতে সবাইকে ঐকমত্য কমিশন ও প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান আলী রীয়াজ।
২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করেন। এরইমধ্যে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পুলিশ সংস্কারের জন্যে গঠিত ছয় কমিশন তাদের সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
আলোচনার প্রথম দিন এলডিপির সঙ্গে বসছে ঐকমত্য কমিশন
প্রতিবেদনে আসা গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর ১৩ মার্চের মধ্যে মতামত জানাতে ৩৮টি দলকে অনুরোধ জানিয়েছিল ঐকমত্য কমিশন। তার মধ্যে অর্ধেক দল এখনো তাদের মতামত দেয়নি।
এ পর্যন্ত যেসব দল কমিশনে মতামত দিয়েছে, সেগুলো হল- লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, জাকের পার্টি, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম ও ‘আম জনতার দল’, রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ জাসদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) ও নাগরিক ঐক্য।
সংস্কার প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শুরু হয়েছে গত বৃহস্পতিবার থেকে।
সেদিন প্রথম দল হিসেবে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে আলোচনা শুরু করে।
News Courtesy: