সার্ক নিয়ে পাক-ভারত টানাটানি কি চীনকে সুযোগ করে দিচ্ছে?

দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতি যে ক্রমাগতভাবে জটিল এবং আরও বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়ে উঠছে, তার সাম্প্রতিক উদাহরণ হচ্ছে সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে ভারতের অসম্মতি; পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এই শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের নতুন চেষ্টাও পরিবর্তনশীল ভূরাজনীতিরই একটি উদাহরণ। এই ধরনের আচরণ আগেও ঘটেছে। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে একে কেবল রুটিন বিষয় বলে বিবেচনা না করে এগুলো যে ধরনের ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিচ্ছে, সেদিকে মনোযোগ দেওয়া দরকার।
স্মরণ করা যেতে পারে, ২০১৬ সালের ৯-১০ নভেম্বর পাকিস্তানে এই শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও সেই সময় ভারত এই যুক্তিতে তাতে অংশ নিতে চায়নি যে ১৮ সেপ্টেম্বর জম্মু-কাশ্মীরের উড়ি সেনা ছাউনিতে হামলার পেছনে আছে পাকিস্তানভিত্তিক সহিংস গোষ্ঠী জইস-ই-মুহাম্মদ এবং তাতে পাকিস্তান সরকারের প্রত্যক্ষ মদদ আছে। এই হামলায় ভারতের ১৯ জন সৈন্য প্রাণ হারান। পাকিস্তান তাদের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করলেও ভারত দাবি করে যে ১০ দিনের মাথায় তারা পাল্টা জবাব দিয়েছে, কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে তাদের চালানো ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। পাকিস্তান এই ধরনের হামলার কথা স্বীকার করেনি। কিন্তু এই পাল্টাপাল্টি হামলার জেরে সার্কের শীর্ষ সম্মেলন ভেস্তে যায়। ভারত এই বৈঠকে না যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর বাংলাদেশ, ভুটান, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ জানিয়ে দেয় তারাও এ সম্মেলনে যাচ্ছে না। নেপাল পাকিস্তানের বদলে অন্যত্র বৈঠকের চেষ্টা করেও সমর্থন পায়নি।
এ অবস্থার মধ্যেই ২০১৯ সালে জাতিসংঘের বৈঠকের পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি বৈঠকে ভারত এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা তাঁদের প্রতিপক্ষের বক্তব্যের সময় অনুপস্থিত ছিলেন। তারপর দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন নদীতে অনেক জল গড়ালেও দুই পক্ষের মধ্যে এ নিয়ে কোনো ঐকমত্য হয়নি। এ দফা পাকিস্তানের উদ্যোগকে নাকচ করতে গিয়ে ভারত বলেছে, ২০১৬ সালের পর ‘কোনো দিক থেকেই পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি।’
কোভিড-১৯ অতিমারি শুরু হলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সার্ক নিয়ে উৎসাহ দেখান, ২০২০ সালের এপ্রিলে। উপলক্ষ অতিমারি মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা কিন্তু মোদির এই উৎসাহের প্রকৃত কারণ কী, সেই প্রশ্ন ছিল। কেননা, ভারতের ক্ষমতাসীনেরা সেই সময় সারা পৃথিবীতে সমালোচনার মুখে ছিলেন। আসামে এনআরসি বাস্তবায়ন, নাগরিকত্ব আইন সংশোধন, দিল্লিতে মুসলিমদের ওপর হামলা এবং গত কয়েক বছরে ভিন্ন মতাবলম্বীদের ব্যাপারে উগ্র দক্ষিণপন্থী বিজেপির আচরণকে কেন্দ্র করে ভারতের মোদি সরকার সারা পৃথিবীতেই বিরূপ অবস্থা মোকাবিলা করছিল। সেই সময় এটাও আলোচিত হচ্ছিল যে ভারতে গণতন্ত্র ক্রমাগতভাবে নিম্নমুখী। নিজের এবং দলের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের আকাঙ্ক্ষাই ছিল মোদির এই উদ্যোগের আসল উদ্দেশ্য—এটা স্পষ্ট।
সার্ক প্রতিষ্ঠা এবং খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলার সময় দীর্ঘ, এর মধ্যে গত এক দশকে যা ঘটেছে, তার একটি অন্যতম দিক হচ্ছে এই অঞ্চলে চীনের প্রভাব বৃদ্ধি। চীন তার বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) সূচনা করেছে। তাতে দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশ যোগ দিয়েছে, পাকিস্তানে চীনের বিনিয়োগ বেড়েছে, চায়না-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর জোরেশোরে বাস্তবায়িত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, চীন ২০১৮ সালে ‘প্রথম চীন-দক্ষিণ এশিয়া সহযোগিতা ফোরাম’ (সিএসএসিএফ)-এর সূচনা করে। ভুটান ছাড়া সার্ক সদস্য রাষ্ট্রগুলো বৈঠকে অংশ নেয় এবং বেইজিংয়ের উদ্যোগের প্রশংসা করে। এই উদ্যোগ বিআরআই-এর একটি অংশ।
তা সত্ত্বেও পাকিস্তানসহ সব দেশ তাতে সাড়া দেয়, এই নিয়ে ভার্চ্যুয়াল বৈঠক হয় এবং একটি তহবিল গঠন করা হয়। এর বেশি কোনো পদক্ষেপের কথা আর শোনা যায়নি। কেননা, এর বেশি অর্জনের উদ্দেশ্য ভারতের ছিল বলে মনে হয় না। ফলে ৩৭ বছর আগে গঠিত এই মৃতপ্রায় সংগঠনটি আবারও কোমায় ফিরে গিয়েছিল। ২০২০ সালে ভারতের এই আকস্মিক উৎসাহ এই বাস্তবতাকে মোটেই বাতিল করে দেয় না যে ১৯৮০ সালে সার্কের ধারণা উপস্থাপনের পর থেকেই ভারত এই সংগঠনকে সন্দেহের চোখেই দেখে এসেছে। এর বিকল্প না হলেও একই ধরনের আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো গঠনে ভারতের উৎসাহ তার প্রমাণ। ভারত সার্কের চেয়ে বিমসটেক বিষয়ে বেশি উৎসাহী। কারণ, ‘সার্ককে নিষ্ক্রিয় করে বিমসটেককে শক্তি জুগিয়ে ভারত মূলত দুটি লক্ষ্য হাসিল করতে চাইছে। প্রথমত, আঞ্চলিক ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে একঘরে করা—সার্কে থাকলেও বিমসটেকে তাদের নেওয়া হয়নি। দ্বিতীয়ত, সার্ক ফোরামে নদীর পানি থেকে সীমান্ত বিরোধ পর্যন্ত আঞ্চলিক প্রায় সব বিষয়ে আলাপ-আলোচনার যে পরিসর ছিল, তা বন্ধ করা। ভারতের সঙ্গে পানির হিস্যা ও বাণিজ্যিক ভারসাম্য স্থাপনের বিষয়ে যৌক্তিক আঞ্চলিক নীতিকৌশলের পক্ষে প্রকাশ্যে বলা যেত সার্কে। (আলতাফ পারভেজ, ‘সার্কের মৃত্যুতে বাংলাদেশের কী ক্ষতি’, প্রথম আলো, আগস্ট ২৫, ২০১৯)।
সার্ক প্রতিষ্ঠা এবং খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলার সময় দীর্ঘ, এর মধ্যে গত এক দশকে যা ঘটেছে, তার একটি অন্যতম দিক হচ্ছে এই অঞ্চলে চীনের প্রভাব বৃদ্ধি। চীন তার বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) সূচনা করেছে। তাতে দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশ যোগ দিয়েছে, পাকিস্তানে চীনের বিনিয়োগ বেড়েছে, চায়না-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর জোরেশোরে বাস্তবায়িত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, চীন ২০১৮ সালে ‘প্রথম চীন-দক্ষিণ এশিয়া সহযোগিতা ফোরাম’ (সিএসএসিএফ)-এর সূচনা করে। ভুটান ছাড়া সার্ক সদস্য রাষ্ট্রগুলো বৈঠকে অংশ নেয় এবং বেইজিংয়ের উদ্যোগের প্রশংসা করে। এই উদ্যোগ বিআরআই-এর একটি অংশ। অতিমারি উপলক্ষে চীন ভারতকে বাদ দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য একটি সহযোগিতা কাঠামো গড়ে তুলতে আগ্রহী।
এরপর চীনের উদ্যোগ হচ্ছে চীন-দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর দারিদ্র্য বিমোচন এবং সমবায় উন্নয়ন কেন্দ্র স্থাপন। দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) আট সদস্যের মধ্যে ভারত, ভুটান ও মালদ্বীপ ছাড়া বেইজিংয়ের নেতৃত্বাধীন উদ্যোগে যোগ দিয়েছে পাঁচ দেশ। ২০২১ সালের এপ্রিলের শেষে দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর মধ্যে কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ে আলোচনার জন্য একটি ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে এই ধরনের কেন্দ্র স্থাপনের ধারণাটি প্রথম চালু করা হয়। এসব উদ্যোগে ভারতকে বাদ রাখা হয়েছে। এই সময় ইমার্জেন্সি কোভিড ভ্যাকসিন স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি স্থাপনের ব্যাপারে আলোচনা হয়; এই বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, ভারতকে বাদ দিয়ে নয়, ভারত ইচ্ছা করলে এতে যোগ দিতে পারে। কিন্তু তার সম্ভাবনা যে নেই, সেটা সহজেই অনুমেয়।
২০১৬ সালে সার্কের বৈঠকে যোগ না দিতে ভারতের উদ্যোগে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো সায় দিলেও এরপর ভারতের সঙ্গে এই অঞ্চলের দেশগুলোর সম্পর্ক আগের মতো আছে কি না, সেটা প্রশ্নসাপেক্ষ। এর একটি উদাহরণ হচ্ছে, ২০২০ সালের মে মাসে লাদাখে ভারত-চীন সংঘাতের সময় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো প্রত্যক্ষভাবে ভারতের পক্ষে দাঁড়ায়নি। সেই সময় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের প্রশ্নটি ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। কমবেশি সব বিশ্লেষকই এটা স্বীকার করেন যে এই অঞ্চলে চীনের প্রভাব বিস্তার লাভ করার একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের আচরণ। এই ধরনের অসম সম্পর্ক অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে আঞ্চলিক কাঠামো মোটেই অনুকূল নয় অথবা এমন ধরনের আঞ্চলিক কাঠামো দরকার, যেখানে ভারতের সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হতে পারে এমন দেশ যাতে না থাকে। সার্কের ব্যাপারে ভারতের অনুৎসাহিতার পেছনে এটা অন্যতম কারণ।
সার্কের অকাল মৃত্যুর পেছনে ভারতের এই ধরনের আচরণ অন্যতম কারণ কিন্তু একমাত্র কারণ নয়। পাকিস্তান সার্ককে তার প্রভাব বিস্তারের একটি উপকরণ হিসেবেই বিবেচনা করেছে এবং একে কেন্দ্র করে এই অঞ্চলে ভারতকে কোণঠাসা করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে। তাতে পাকিস্তানের সাফল্য নেই; সেটা ২০১৬ সালের আগেও দেখা গেছে। তবে ২০১৬ সালের ঘটনা তার সবচেয়ে সুস্পষ্ট উদাহরণ। চীন ২০০৫ সাল থেকে পর্যবেক্ষক হিসেবে সার্কের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত রয়েছে। ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ শীর্ষ সম্মেলনেই সার্ক নেতারা ‘সার্ক কার্যক্রমে আগ্রহী অন্যান্য আঞ্চলিক সংস্থা এবং এই অঞ্চলের বাইরের রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সংলাপ অংশীদারত্ব স্থাপনে’ সম্মত হন। ২০০৫ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ত্রয়োদশ সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে পর্যবেক্ষকের মর্যাদা পায় চীন ও জাপান। তারপর থেকেই সার্কের ব্যাপারে চীনের প্রত্যক্ষ আগ্রহ লক্ষণীয়। পাকিস্তান চায় চীনকে সার্কের পূর্ণ সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে, ভারত তার বিরোধী। চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের মাত্রা যতই ঘনিষ্ঠ হয়েছে, ততই সার্কে পাকিস্তান চীনের আগ্রহের বিষয়ে উপস্থাপন করে আসছে।
আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের পর তালেবানকে পাকিস্তান সরাসরি স্বীকৃতি না দিলেও তাঁদের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা দেওয়া এবং তাঁদের ক্ষমতার বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছে। গত বছর সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের অধিবেশনের পাশাপাশি সার্ক পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে আফগানিস্তানের তালেবান প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পাকিস্তান চাপ দিয়েছিল। ভারতের আপত্তির কারণে শেষ পর্যন্ত ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি। এখন সার্ককে কেন্দ্র করে পাকিস্তান যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে এটা স্পষ্ট হবে যে এই সংস্থার কার্যকারিতা অবসিত হয়েছে। এটি এই অঞ্চলে চীনের উদ্যোগে নতুন কাঠামো গঠন করার একটি পটভূমি তৈরি করেছে। ইতিমধ্যে চীনের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ সেই দিকেই ইঙ্গিত দেয়। ফলে বিষয়টি কেবল পাকিস্তান-ভারত দ্বন্দ্বের বিষয় নয়।
চীনের এসব উদ্যোগ আগামীতে আরও বৃদ্ধি পাবে। এই অঞ্চলে ভারত ও চীনের এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা আগামীতে আরও বেশি প্রত্যক্ষ রূপ নেবে। এটাও সহজেই অনুমান করা যায় যে এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখন প্রায় স্নায়ুযুদ্ধে রূপ নিচ্ছে, এর সঙ্গে সার্ককে কেন্দ্র যা ঘটছে তারও সম্পর্ক আছে। দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হচ্ছে, ফলে এই টানাপোড়েনে যুক্তরাষ্ট্র আগামীতে যুক্ত হয়ে পড়লে তাতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। তিন দেশের প্রভাব বলয় বৃদ্ধির এই প্রতিযোগিতার কারণে এই অঞ্চলের দেশগুলোকে এই ধরনের বিভিন্ন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে, বাংলাদেশ তা থেকে বাদ থাকবে, তা নয়। এ দফা সার্কের শীর্ষ সম্মেলন বাতিল হয়ে যাওয়া সামনে আরও বেশি ঘটনা ও জটিলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে, আশা করি, বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকেরা সেদিকে নজর রাখছেন।
আলী রীয়াজ যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর, আটলান্টিক কাউন্সিলের অনাবাসিক সিনিয়র ফেলো এবং আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের প্রেসিডেন্ট
News Courtesy:
https://www.prothomalo.com/opinion/column/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%95-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%9A%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87