বিশ্ববিদ্যালয় দলীয় আনুগত্যের স্থান নয়

বিশ্ববিদ্যালয় দলীয় আনুগত্যের স্থান নয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ এবং দলীয়করণের কথা বহুল আলোচিত। উপাচার্য নিয়োগ নিয়েই এই বিষয়ে বেশি আলোচনা হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের দলীয়করণ কেবল উপাচার্য কিংবা পরে যখন সহ–উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া শুরু হয়েছে, তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। কেননা উপাচার্য প্রশাসনে এমন ব্যক্তিকেই নিয়োগ দিতে আগ্রহী হয়েছেন, যাঁরা তাঁর সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে ভিন্নমত পোষণ করবেন না এবং ক্ষমতাসীনদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবেন—এই ধারা প্রশাসনের সর্বত্র বিস্তার লাভ করেছে, এক সর্বগ্রাসী রূপ নিয়েছে। মেরিটোক্রেসি বা মেধার চেয়ে দলীয় বিবেচনা প্রাধান্য লাভ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রক্রিয়া ক্ষমতাসীনদের প্রতি নিঃশর্ত আনুগত্য দ্বারা নির্ধারিত হওয়ার ধারা জোরদার হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতা বা স্বায়ত্তশাসনের একটি গ্রহণযোগ্য কাঠামো ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশে ছিল। এ রকম একটি আইনের দাবি ছিল ১৯৬৯ সাল থেকেই। তার জন্য উদ্যোগও তখন থেকেই নেওয়া হয়। স্বাধীনতার পর যখন এর একটি সুস্পষ্ট আইনি রূপ তৈরি হলো এবং তা বাস্তবায়িত হতে শুরু করল, তখন দেখা গেল যে আইনের ভেতরে সরকারের নিয়ন্ত্রণের যতটা ব্যবস্থা করা আছে, তারও ব্যবহার শুরু হয়েছে। উপাচার্য নিয়োগপ্রক্রিয়ার রাজনৈতিকীকরণের সূচনা ১৯৭৩ সালেই। এরপর এই অবস্থার ব্যতিক্রম হয়নি, ক্ষমতায় কে আছেন সেটা বিবেচ্য নয়। তবে এটাও স্বীকার করতে হবে যে একই প্রক্রিয়া সত্ত্বেও ব্যক্তি হিসেবে অন্তত একজন উপাচার্য এ ধরনের চাপের মোকাবিলা করেছেন; নৈতিক অবস্থান গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে পদত্যাগ করেছেন। গত ৫০ বছরে কমপক্ষে ১৪ জন স্থায়ী উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই সময়ে কাঠামোগতভাবে সরকারের নিয়ন্ত্রণ এবং প্রভাব তাতে হ্রাস পায়নি, বরং ক্রমেই বেড়েছে। ১৯৮০-এর দশকের মধ্যভাগ থেকে তা ক্রমাগতভাবে এক ব্যাধিতে রূপ নিয়েছে। উপাচার্যদের নিয়োগ এবং তাঁদের দায়িত্বের অবসানের ইতিহাসের দিকে তাকালেই তা বোঝা যায়।

বিশ্ববিদ্যালয় যখন দলীয়করণের হাতিয়ার
১৯৬১ সালের অধ্যাদেশে শিক্ষকদের রাজনীতি করার অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ১৯৭৩ সালে এই অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তা বিশ্ববিদ্যালয়কে দলীয়করণের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। যে কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলগুলোর বিষয়ে গণমাধ্যমে পরিচিতি দেওয়া হয় আওয়ামী লীগ–সমর্থিত অথবা বিএনপি–সমর্থিত বলে। দুর্ভাগ্যজনক যে ১৯৯১ সালের পর তার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। ক্ষমতাসীনেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর সর্বব্যাপ্ত নিয়ন্ত্রণ রাখতে চেয়েছে। এর একটি উদাহরণ হচ্ছে এই যে ১৯৯১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দেশে নির্বাচিত বেসামরিক সরকার ক্ষমতায় থেকেছে এবং গণতন্ত্র চর্চার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত সংস্থা ডাকসুতে নির্বাচন হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দলীয়করণ প্রক্রিয়ার ধারা গত দেড় দশকে ভয়াবহ রূপ লাভ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রক্রিয়ার দলীয়করণের পেছনে যা কাজ করেছে তা হচ্ছে শিক্ষকদের দলীয় আনুগত্য। শিক্ষকেরা বিভিন্ন গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়েছেন সেটা অস্বাভাবিক নয়, সুস্থ ভিন্নমতের অনুপস্থিতি বরং বিপজ্জনক বলে বিবেচনা করা যেত। কিন্তু তাঁদের এই বিভক্তি দলের বিবেচনাপ্রসূত—তাঁদের পেশার উন্নয়নের প্রশ্নে বা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের বিষয় নিয়ে ভিন্নমত থেকে তৈরি নয়। যদিও এসব বিভক্তিকে আদর্শিক মোড়ক দেওয়া হয়, কিন্তু তার কতটা আদর্শিক সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। এসব বিভক্তির উদ্দেশ্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুরস্কার প্রাপ্তির প্রত্যাশা থেকে। দলের প্রতি আনুগত্যের পুরস্কার কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরেই পাওয়া যাবে তা নয়, অন্যত্র নিয়োগের মধ্য দিয়েও তা করা হয়েছে।

জবাবদিহির অনুপস্থিতি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ জন শিক্ষক ২০১৯ সালে লিখেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বশাসনের অধিকারবোধটি প্রায় হারিয়ে গেছে জ্ঞানের অচর্চায়, ক্ষমতার আকর্ষণে। স্বাধীন জ্ঞানচর্চার সঙ্গে কর্তৃত্বপরায়ণ রাষ্ট্রক্ষমতার যে বিরোধ রয়েছে, আমরা তা বেমালুম ভুলে গেছি। নীতিহীন ব্যক্তিস্বার্থকেন্দ্রিক অন্ধ দলীয় রাজনীতির জন্য মুক্তচিন্তা আর বিবেকের স্বচ্ছতাকে বিসর্জন দিতে আমাদের একবিন্দুও বাধে না’ (‘সাম্প্রতিক ভর্তি জালিয়াতি ও বিবেকের বৈকল্য’, প্রথম আলো, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯)।

এর পেছনে কাজ করেছে ১৯৭৩-এর অধ্যাদেশকে কেবল নির্বাচনের বিষয় বলে বিবেচনা করা, জবাবদিহির অনুপস্থিতিকে আমলে না নেওয়া। আহমেদ কামালের দীর্ঘ বর্ণনা এই কারণে উদ্ধৃত করা দরকার যে তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতির একটি সুস্পষ্ট চিত্র পাওয়া যায়: ‘তিয়াত্তরের অধ্যাদেশের মাধ্যমে প্রশাসনে ব্যাপক গণতন্ত্রায়ণ হলো, কিন্তু সে গণতন্ত্রায়ণ ছিল নিতান্তই আনুষ্ঠানিক—কতগুলো নির্বাচনের সমাহার মাত্র। সেই নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় জড়িয়ে আমরা ভুলে গেলাম যে শুধু ভোট দিলেই গণতন্ত্রায়ণ হয় না, গণতন্ত্রায়ণের জন্য প্রয়োজন যে দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ তা আমরা অচিরেই বিসর্জন দিলাম—অবহেলিত হলো গবেষণার সুযোগ বৃদ্ধির প্রচেষ্টা, তৈরি হলো না যুগোপযোগী কারিকুলাম, হলো না মেধার মূল্যায়ন। অনিয়মের অভিযোগ এল শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে—মেধা প্রায়ই হটে গেল দলীয় শক্তির দাপটে। এই প্রক্রিয়ায় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার মান হলো নিম্নগামী, শিক্ষকের মর্যাদা হলো ভূলুণ্ঠিত। জাতীয় রাজনীতি ও ছাত্ররাজনীতির অদূরদর্শী আঁতাতে শিক্ষাঙ্গন হলো সন্ত্রাসের আখড়া। কিছু শিক্ষকের জন্য ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের ভিত্তি হলো ব্যক্তিগত হীনস্বার্থ চরিতার্থতার কৌশল। নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাত্রা যে গতিতে বাড়ল, সেই গতিতেই হারিয়ে গেল শিক্ষকদের জবাবদিহির প্রক্রিয়া। প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার জন্য শুরু হলো রাজনৈতিক দলের বেপরোয়া লেজুড়বৃত্তি, রাজনৈতিক দলের কর্মীদের জন্য সৃষ্টি করতে হলো অন্যায় সুযোগ-সুবিধা। আর নিজেদের জন্য এই অন্যায় সুযোগ-সুবিধার খেলায় অনেক শিক্ষকই পিছপা ছিলেন না। এই প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বড় সহায়ক হলো তিয়াত্তরের অধ্যাদেশ। এই অধ্যাদেশে আমাদের জন্য সবই ছিল, ছিল না শুধু জবাবদিহির ব্যবস্থা।’

প্রাতিষ্ঠানিক স্বায়ত্তশাসনের বদলে সরকারি নিয়ন্ত্রণের পরিণাম কেবল যে শিক্ষকদের ওপর প্রভাব ফেলেছে, তা নয়। এর প্রভাব ফেলেছে ছাত্ররাজনীতির ওপরও। যেহেতু উপাচার্য এবং প্রশাসন ক্ষমতাসীন দলের আনুকূল্যের ওপর নির্ভরশীল হয়েছেন, সেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের হাতেই তুলে দেওয়া হয়েছে। ছাত্রাবাসের কক্ষ বরাদ্দ কিংবা কথিত গণরুমে শিক্ষার্থীদের জায়গা দেওয়া, এমনকি ছাত্রাবাসে ‘টর্চার সেল’ থাকার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মৌন সম্মতির কারণ হচ্ছে, তার কুশীলবদের হাতেই প্রশাসনের ভাগ্য নির্ভরশীল। যে বিশ্ববিদ্যালয় তার সবচেয়ে বড় সাফল্যের তালিকায় ছাত্রছাত্রীদের ভাষা আন্দোলন, শিক্ষা আন্দোলন, স্বাধীনতা আন্দোলনের কথাই বলে থাকে, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষে ক্যাম্পাসে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রকর্মীদের বাইরে আর অন্য কোনো দলের প্রায় উপস্থিতিই নেই।

দলীয় আনুগত্যের কারণে শিক্ষকদের সঙ্গে ছাত্রকর্মীদের সম্পর্ক শিক্ষক-ছাত্রের চেয়ে একই দলের সহযোদ্ধার মতো হয়ে উঠেছে। তদুপরি ক্ষমতাসীনদের কাছে ছাত্রনেতারা যত সহজে পৌঁছাতে পারেন, একই দলের অনুগত শিক্ষকেরাও প্রায়ই সেই সুযোগ পান না। ফলে ছাত্রনেতারা হয়ে ওঠেন তাঁদের যোগাযোগের বাহন। দলীয় বিবেচনায় প্রশাসনিক পদে নিযুক্তির কারণে নিয়োগকৃতদের রক্ষা করার অলিখিত দায়িত্ব বর্তায় ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রনেতা ও কর্মীদের ওপর। এ সবই হয়েছে প্রতিষ্ঠান হিসেবে যে বিদ্যায়তনিক স্বাধীনতা এবং প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক বিষয় তার অনুপস্থিতির কারণে।

সামনের চ্যালেঞ্জ
একটি দ্রুত পরিবর্তনশীল সময়ে আমরা বাস করছি, প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং বিশ্বায়নের কারণে সামাজিক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সব প্রতিষ্ঠানের সামনেই এখন বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ উপস্থিত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সামনে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে জ্ঞান সমাজ প্রতিষ্ঠার কাজে যুক্ত হওয়া, শিক্ষার্থীদের সেই সমাজের জন্য প্রস্তুত করা। কিন্তু একই সময়ে সারা বিশ্বেই এক ধরনের জ্ঞান বৈষম্য তৈরি হচ্ছে, ডিজিটাল ডিভাইড তার একটি উদাহরণ। ২০২০ সাল থেকে করোনাভাইরাস মহামারি এই বৈষম্য এবং পরিবর্তন দুইয়ের তাগিদকে জরুরি করে তুলেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার যোগ্য মানুষ তৈরি করতে হবে। উন্নয়নশীল একটি দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে এই দায়িত্ব তার ওপরই বর্তায়।

এই চ্যালেঞ্জ কেবল নতুন নতুন বিভাগ তৈরি করে মোকাবিলা করা যাবে না, তার জন্য দরকার হবে বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বাধীন জ্ঞানচর্চার স্থানে পরিণত করা; স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির কাঠামো তৈরি এবং তা চর্চার ব্যবস্থা করা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কাঠামো, দৃষ্টিভঙ্গি এবং পরিচালন ব্যবস্থা এর অনুকূল নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকদের ভাষা ধার করে বলতে হচ্ছে, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন আর ফটকের দরজা হয়তো খোলা আছে ঠিকই, কিন্তু চিন্তা, নিয়মনীতি, গবেষণা আর সৃজনশীল চর্চায় বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন স্থায়ী ধর্মঘট চলছে, সেই ধর্মঘট ভাঙা আজ সময়ের দাবি’ (‘সাম্প্রতিক ভর্তি জালিয়াতি ও বিবেকের বৈকল্য’, প্রথম আলো, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ১৯৭৩-এর ব্যাপক অপব্যবহার, এই আইন লঙ্ঘনে ক্ষমতাসীনদের উৎসাহ, শিক্ষকদের মধ্যে দলের প্রতি বিবেকহীন আনুগত্য অব্যাহত রেখে অগ্রসর হওয়ার পথ নেই।

কোনো প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ পূর্বনির্ধারিত নয়; ভবিষ্যৎ হচ্ছে সচেতন সক্রিয়তার ফসল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সেই বিষয়ে সচেতন হতে হবে। গণতন্ত্র, বিদ্যায়তনিক স্বাধীনতা এবং প্রাতিষ্ঠানিক স্বায়ত্তশাসন ব্যতিরেকে তা সম্ভব নয়। এই বিষয়ও নিশ্চয় আমাদের মনে রাখতে হবে যে একটি রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অনুপস্থিতিতে আলাদা করে একটি বা দুটি বিশ্ববিদ্যালয় এগুলো অর্জন করতে পারে কি না। এটি বিশেষ করে বাংলাদেশ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস তার একটি কারণ, অন্যটি হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোনো দ্বীপ নয় যে সমাজের এই চাহিদা থেকে সে বিযুক্ত থাকতে পারবে; এ ধরনের বিচ্ছিন্নতা নৈতিকভাবে সমর্থনযোগ্যও নয়। এই দায়িত্ব কেবল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপরও বর্তায়। আগামী দিনগুলোতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেই ভূমিকা পালন করুক—শতবার্ষিকীতে সেটাই প্রত্যাশা।

News Courtesy:

https://www.prothomalo.com/opinion/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%9F-%E0%A6%A6%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%97%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%A8%E0%A7%9F

An unhandled error has occurred. Reload 🗙