দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ ছাড়া ভারতের কোনো বন্ধু নেই: আলী রীয়াজ

যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, বাংলাদেশ ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের কোনো বন্ধু নেই। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান যথেষ্ট। কিন্তু ভারত সব সময় বাংলাদেশের ওপর প্রভাব বিস্তার করেছে। আর এটা বুঝতে প্রণব মুখার্জির বই যথেষ্ট। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক মূলত অম্ল মধুর মতো। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজুল ইসলাম লেকচার হলে ‘বাংলাদেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ গতিপ্রকৃতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলী রীয়াজ বলেন, বাংলাদেশের এখন সব চেয়ে বেশি যে বিষয়টা আলোচনা হয় সেটা হলো আগামী জাতীয় নির্বাচন। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি আবার হবে কিনা তা নিয়ে সবার মধ্য একটা আশংকা কাজ করছে। এ নিয়ে সবার মধ্য অস্থিরতা এবং ভয় কাজ করছে। যদিও এটা নতুন কিছু নয়। তবে আমার মনে হয় অতিতের তুলনায় বর্তমানে বাংলাদেশে বেশি রাজনৈতিক সংকট চলছে।

বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলকে নিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হলে কট্টর ইসলাম পন্থীদের প্রভাব বাড়বে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেকেই এখন বলছে এরকম পরিস্থিতিতে বিএনপি নির্বাচনে যাবে কিনা কিন্ত তার থেকে বড় প্রশ্ন হলো সকল দল নির্বাচনে যাবে কিনা। গণতন্ত্রর এই একটা বিষয় নিয়ে সবাই ভাবছে। বাকি বিষয়গুলো নিয়ে কারোর কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই এটাই আমাকে অবাক করে। অন্য বিষয়গুলোও বিবেচনা হওয়া উচিত। বৈশ্বিকভাবে এখন বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব বেড়েছে জানিয়ে বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্বের কাছে গ্রহণ যোগ্যতা একটি ভিন্ন মর্জাদা এনে দিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব বিস্তার ক্রমন্বয়েই বাড়ছে। সেখানে ভারতও প্রতিযোগি হওয়ার চেস্টা করছে। প্রকৃত অর্থে তারা পেরে উঠতেছে না। তাদের সাথে বাংলাদেশ ছাড়া আর কেউ নেই। এখানের সব বিষয়েই তাদের যতটুকু দৌরত্ব রয়েছে। এটা আর কোথাও নেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই অধ্যাপক বলেন, কতৃত্ববাদী শাসনের অবসান হলেই যে গণতন্ত্র ফিরে আসবে বিষয়টা আসলে তা নয়। ১৯৯১ সালেই সিভিল সোসাইটিকে দলীয়করণ করা হয়েছে। এতে করে সিভিল সোসাইটির মধ্য বিভক্ত তৈরি হয়েছে। গত কয়েক দশকে নতুন করে শ্রনী বৈষম্য বেড়েছে। সুইস ব্যাংকে টাকাতো বাংলাদেশীরাই রাখছে। কিন্ত সেটার কোনো ব্যাখা রাষ্ট্রর কাছে নেই। বিএনপির অন্যতম রাজনৈতিক উপাদান হলো ভারত বিরোধিতা করা আর ক্ষমতাসীনদের ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ এসব একেকটা অর্থ বহন করে।

আলোচনা সভার সভাপতির বক্তব্য সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) এর ফেলো রাষ্ট্র বিজ্ঞানী রওনক জাহান বলেন, বিশ্ব নেতৃত্ব দেখছে শুধু তরুণদের। ওবামা জাস্টিন ট্রুডোরা যখন তরুণদের প্রতিনিধিত্ব করছে তখন বাংলাদেশ শুধু বুড়োদের খুঁজে বেড়ায়। তরুনদের প্রতিনিধিত্ব এবং তাদের মেধার মূল্যায়নের বিষয়টিও আমাদের ভাবতে হবে। সম্পাদনা: আনিস রহমান

News Courtesy:

আমাদের অর্থনীতি  | July 7, 2018

An unhandled error has occurred. Reload 🗙