ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য আগামী বাংলাদেশের পথরেখা তৈরি করা: আলী রীয়াজ

ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য আগামী বাংলাদেশের পথরেখা তৈরি করা: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, আগামী বাংলাদেশের পথরেখা তৈরি করাই ঐকমত্য কমিশনের অন্যতম লক্ষ্য। তাঁরা আশা করছেন, সবার সঙ্গে অব্যাহত আলোচনার মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা সম্ভব হবে। এরই অংশ হিসেবে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন।

আজ বিকেলে নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য জিল্লুল চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আলোচনায় অংশ নেয়। ঐকমত্য কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার।

আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘স্বাধীনতা–উত্তর সময়ে এই প্রথম রাষ্ট্র সংস্কারের ক্ষেত্রে আমরা একটি পথ-পদ্ধতি তৈরি করার সুযোগ পেয়েছি। এ দেশের গণমানুষের সংগ্রামের কারণে যা সম্ভবপর হয়েছে।’

অধ্যাপক আলী রীয়াজ আরও বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের ১৫ জুলাই। এই মেয়াদের মধ্যে কাজ সম্পাদন করতে চায় কমিশন।

নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য জিল্লুর চৌধুরী বলেন, নাগরিক ঐক্য ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ১১৪টিতে একমত, ১১টিতে আংশিক একমত এবং বাকিগুলোতে একমত হতে পারেনি।

সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন, বিচার বিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সংস্কার প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে এই আলোচনা চলছে। এর ভিত্তিতে তৈরি করা হবে জুলাই সনদ।

এখন পর্যন্ত ৬টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেছে ঐকমত্য কমিশন। আগামীকাল বুধবার বিকল্পধারা এবং গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে কমিশনের আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

News Courtesy:

Prothom Alo | April 8, 2025

 

 

 

An unhandled error has occurred. Reload 🗙