আলী রীয়াজ স্নাতকোত্তর গবেষণা বৃত্তি ও পুরস্কার পেলেন ঢাবির ৩ শিক্ষার্থী

আলী রীয়াজ স্নাতকোত্তর গবেষণা বৃত্তি ও পুরস্কার পেলেন ঢাবির ৩ শিক্ষার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন জন শিক্ষার্থী আলী রীয়াজ স্নাতকোত্তর গবেষণা বৃত্তি ও পুরস্কার পেয়েছেন। এ উপলক্ষে বুধবার ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কারপ্রাপ্ত ও বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হাতে সমপরিমাণ অর্থের চেক তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। এ বছর আলী রীয়াজ স্নাতকোত্তর গবেষণায় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী হলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতকোত্তর ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তামারা ইয়াসমীন তমা। গবেষণায় বৃত্তিপ্রাপ্তরা হলেন একই বিভাগের স্নাতকোত্তর ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের অর্থী নবনীতা এবং একই বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের মো. নাসিমুল হুদা।

অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি হিসবে যুক্ত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর, আটলান্টিক কাউন্সিলের অনাবাসিক সিনিয়র ফেলো এবং আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের প্রেসিডেন্ট ড. আলী রীয়াজ। ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহাম্মদের সভাপতিত্বে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন উক্ত বিভাগের অধ্যাপক ড. রোবায়েত ফেরদৌস। অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন: আলী রীয়াজ স্নাতকোত্তর গবেষণা বৃত্তির ট্রাস্টি সফরুন আরা, জনপ্রিয় টক শো 'তৃতীয় মাত্রা'র উপস্থাপক জিল্লুর রহমান, আইনবিদ ও মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভকেট দিলরুবা শারমিন, সাংবাদিক ও কলামিস্ট তারিক চয়ন, সাংবাদিক বিপ্লব মল্লিক প্রমুখ।

অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, আলী রীয়াজ স্যারকে ধন্যবাদ। তিনি আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য শিক্ষক ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি সুশাসনের জন্য লিখে যাচ্ছেন। শিক্ষকদের সীমিত উপার্জন থেকে কষ্ট করে জমিয়ে ফান্ড গঠন করা চাট্টিখানি কাজ নয়। সেজন্য এমন একটি উদ্যোগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আমরা তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণার জায়গা, রাষ্ট্র পরিচালনার জায়গা।

 
তিনি বলেন, আজকের দিনটি আমাদের নয়। যারা এই গবেষণা পুরস্কার ও বৃত্তি অর্জন করলেন আজকের দিনটি তাদের জন্য।

অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, "বাংলাদেশ সম্পর্কে জানবার জন্য, বাংলাদেশ রাষ্ট্র কেমন চলছে, গণতন্ত্র ঠিকমতো চলছে কিনা, মানবাধিকারের কী অবস্থা, সুশাসন আছে কিনা? এসব প্রশ্নের উত্তর পেতে অনেক সময় আলী রীয়াজ স্যারকে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে ডেকে পাঠানো হয়। তার মানে বাংলাদেশের অন্যতম একটা অথরিটি হচ্ছেন প্রফেসর আলী রীয়াজ।"

ভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মনসুর বলেন, আলী রীয়াজ স্যারকে আমি ক্লাসরুমে পেয়েছিলাম জেনারেল এরশাদের সময়টায়। আজকে আমাদের উপাচার্য স্বশরীরে এখানে এসে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করেছেন। তাকে ধন্যবাদ। আলী রীয়াজ স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ‘আলী রীয়াজ স্নাতকোত্তর গবেষণা পুরস্কার ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠন করা হয়েছিল। এ উপলক্ষে ওই বছরের অক্টোবর মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দিন আহমেদের হাতে আলী রীয়াজ ১০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেছিলেন এই পরিকল্পনায় যে, এই তহবিলের আয় থেকে প্রতিবছর সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য বৃত্তি দেওয়া হবে। এ ছাড়া শ্রেষ্ঠ গবেষণাকাজের জন্য একজন শিক্ষার্থীকে ‘আলী রীয়াজ স্নাতকোত্তর গবেষণা পুরস্কার’ দেওয়া হবে। উপাচার্য দপ্তরে ওই চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ঢাবির তৎকালীন উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের তৎকালীন ডিন সাদেকা হালিম, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান আবুল মনসুর আহাম্মদ, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার ও অনুদানদাতার বড় বোন সফুরন আরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, আলী রীয়াজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। পরে তিনি এ বিভাগের শিক্ষক হন। ১৯৭৯ ও ১৯৮২ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এর সাহিত্য সম্পাদক নির্বাচিত হন।

 
News Courtesy:
https://mzamin.com/news.php?news=94620&fbclid=IwAR08VCOs4TdlTHEwDS18otXCqUWo4kscrsjYLbqWmzNNRp7vyJMrh9IU5AY
An unhandled error has occurred. Reload 🗙