গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চায় সবাই: আলী রীয়াজ

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চায় সবাই: আলী রীয়াজ

গণতন্ত্র ও প্রাতিষ্ঠানিক ঘাটতির কারণে দেশে ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থা চালু হয়েছিল মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ, ছাত্রজনতার আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। গত ৫৩ বছরে বাংলাদেশের শাসনকাঠামোতে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে ঘাটতি এবং প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা ছিল বলেই একটি ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেকারণে রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ, ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। যাতে করে আমাদের পুনর্বার সেই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে না হয়, পুনর্বার যাতে প্রাণ দিতে না হয়, গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যার মোকাবিলা করতে না হয়। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আম জনতার দলের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর একীভূত সুপারিশ চূড়ান্ত করার পাশাপাশি এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরির জন্য কাজ করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। পাঁচটি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশের ওপর ৩৯টি রাজনৈতিক দলের মতামত জানতে চেয়েছিল কমিশন। এরপর সেই মতামত ধরে সংশ্লিষ্ট দলের সঙ্গে সংলাপ করছে কমিশন।

আলী রীয়াজ বলেন, ‘আপনাদের (রাজনৈতিক দল) মতামতের অনেক ক্ষেত্রে ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশগুলোর বিষয়ে একমত প্রকাশ করেছেন। কিছু বিষয়ে ভিন্নমত আছে, কিছু বিষয়ে আংশিকভাবে একমত প্রকাশ করেছেন। যেসব বিষয়ে একমত প্রকাশ করেছেন তা নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন নেই। যেসব বিষয়ে ভিন্নমত আছে তা নিয়ে কথা বলব, আমাদের থেকে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করব। পাশাপাশি বক্তব্য শুনব।’

আমজনতার দলের সভাপতি মিয়া মশিউজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমানের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেন।

সংলাপের জন্য নিজেদের প্রস্তুতির ঘাটতি থাকার কথা জানিয়ে সূচনা বক্তব্যে মশিউজ্জামান বলেন, স্প্রেডশিটে দেওয়া মতামতের কিছু পরিবর্তন হবে। এটা ঐকমত্য কমিশনের জন্য অসুবিধা হবে। আগের দেওয়া মতামতের কয়েকটা জায়গায় পরিবর্তন করে চাই। বৈঠকে সংবিধান, বিচার বিভাগ ও দুর্নীতি দমন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান মশিউজ্জামান। তিনি আশা করেন, আলাপ ফলপ্রসূ হয়েছে। জাতির জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ রচনায় অবদান রাখতে পারব।

আলোচনায় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, সফররাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান, জনপ্রশাসন, নির্বাচনব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন কমিশন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে আলাদা আলাদা আলোচনা করছে ঐকমত্য কমিশন। এখন পর্যন্ত ১৬টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রথম পর্যায়ের আলোচনা শেষ করেছে কমিশন।

News Courtesy:

Jugantor | April 24, 2025

 

 

 

An unhandled error has occurred. Reload 🗙