আমরাই জনসমাজ

আমরাই জনসমাজ

বাংলাদেশে সিভিল সোসাইটির প্রচলিত বাংলা অনুবাদ হল সুশীল সমাজ – আমি সাম্প্রতিক কালে সিভিল সোসাইটি বলতে ‘জনসমাজ’ শব্দটি ব্যবহার করি। কেননা সুশীল কথাটার মধ্যে এক ধরনের পদসোপান (হাইয়ারার্কি) আছে বলে আমার মনে হয়। এর খানিকটা অবশ্য তৈরি হয়েছে কেননা যারা এই ‘সুশীল সমাজের’ সদস্য বলে নিজেদের মনে করেন তাঁরা নিজেদের হাজির করছেন অভিজাত শ্রেনী বা গোষ্ঠী হিসেবে। আমার ধারণা আমরা যদি একে জনসমাজ বলে অভিহিত করি তবে এই দুর্বলতা থেকে খানিকটা দূরে থাকা যায়। কেউ কেউ একে ‘সচেতন নাগরিক সমাজ’ বলার পক্ষপাতী।

বাংলাদেশে এই জনসমাজের ধারণা এবং তার কার্যকারিতা নিয়ে এক ধরনের ভুল ধারণা রয়েছে এবং প্রবল একটা সমালোচনাও রয়েছে। এই সমালোচনা গত কয়েক বছরে বেশ জোরদার হয়েছে। আমি লক্ষ করেছি যে প্রায়শই গোটা জনসমাজের বিরুদ্ধে এক ধরনের বিষোদ্গার করা হয়ে থাকে। সেটার অন্যতম কারণ হল বাংলাদেশে সিভিল সোসাইটি বলতে একটা  নির্দিষ্ট ধারণা বদ্ধমূল হয়ে গেছে; আর তা হল জনসমাজ মানে হল দেশের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো। তা ছাড়া সিভিল সোসাইটি বলতে একগুচ্ছ পরিচিত মানুষ যারা সাংবাদিকতা, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে পরিচিতি (এবং জনপ্রিয়তা) অর্জন করেছেন। এর সঙ্গে যুক্ত করা হয় কোনো কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে যারা বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের মন্তব্য প্রকাশ করেন। সংবাদপত্রে লেখালেখি কিংবা টেলিভিশনে টক শো’তে অংশগ্রহণকারী বুদ্ধিজীবীদের এই জনসমাজের প্রতীক, প্রতিনিধি এবং প্রতিভূ বলেও মনে করা হয়। এনজিও, বেসরকারি গবেষণা সংস্থা, মানবাধিকার সংগঠন, সাংস্কৃতিক আন্দোলনের কর্মী – এদের সবাইকে এক কাতারে দাঁড় করিয়ে অনেকেই গোটা জনসমাজের ধারনারই বিরোধিতা করে থাকেন। ধরে নেন যে সুশীল সমাজ হল একটি সমশ্রেনীভুক্ত সমাজ এবং আমার সবাইকে একভাবে বিচার করতে পারি; আর এর যে কোনো অংশের বা ব্যক্তির সীমাবদ্ধতা আসলে পুরো ধারনাটিরই অকার্যকরতার প্রমাণ বহন করে। এই কাজটি ক্ষমতাসীনরা তো হরহামেশাই করেন এমনকি বিরোধী রাজনীতিবিদরাও তা থেকে পিছপা হন না। এখন সাধারণ মানুষেরাও প্রায়শ এমন ভাবেই বলে থাকেন।

আমার মনে হয় এখন এই বিষয়ে একটু খোলামেলা আলোচনার সময় এসেছে। আমাদের জনসমাজের ধারণা বিষয়ে আলোচনা করা দরকার; কেননা জনসমাজ বলে যাদের চিহ্নিত করা হয় তাঁদের কোনো কোনো অংশের, বলা যায় এক বড় অংশের, আচরণের কারণে আমরা সম্ভবত জনসমাজের ধারণাকে এমনভাবে সমালোচনা করছি যা দীর্ঘমেয়াদে স্বাধীন (স্বায়ত্তশাসিত অর্থে) তৃণমূল পর্যায় থেকে, দলীয় বিবেচনার বাইরে সামাজিক আন্দোলন গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে বড় ধরনের বাধা হয়ে উঠতে পারে। সেকারনে আমাদের আলোচনা করা দরকার যে আমরা জনসমাজ বলতে কি বুঝি, গণতান্ত্রিক সমাজে তার দরকার কেন, এবং কেন এখন বাংলাদেশে দলীয় বিবেচনায় বিভক্ত কিংবা আর্থিক বিবেচনা দ্বারা চালিত জনসমাজ প্রকৃতপক্ষে জনসমাজের ধারণার সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ। আমাকে আমার পাঠকরা সাহস যোগালে বলবো – এখন সময় এসেছে জনসমাজের ধারণাকে তার অপব্যবহারকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করে তার প্রকৃত জনসমাজের কাছে ফিরিয়ে আনা।

জনসমাজের দুটো ধারণার সঙ্গে আমরা পরিচিত। একটা আমরা পাই আন্তনিও গ্রামসির লেখালেখি থেকে। গ্রামসি বলছেন যে পুঁজিবাদী রাষ্ট্র আসলে দুটো পরস্পর-সংযুক্ত (ওভারলেপিং) এলাকা বা স্ফেয়ার – একটা হল ‘রাজনৈতিক সমাজ’ (‘পলিটিক্যাল সোসাইটি‘), আরেকটা হল ‘জনসমাজ’ (‘সিভিল সোসাইটি’)। গ্রামসি বলছেন যে রাজনৈতিক সমাজ বল প্রয়োগের মাধ্যমে শাসন করে আর সিভিল সোসাইটি সম্মতি (কনসেন্ট)-এর মাধ্যমে শাসন ব্যবস্থা বহাল রাখে। তিনি পরিবার, শিক্ষা ব্যবস্থা, অর্থনীতি, ট্রেড ইউনিয়ন ইত্যাদিকে সিভিল সোসাইটির অংশ বলে মনে করেন। আমরা এই ধারণা থেকে এগিয়ে গিয়ে বলতে পারি যে তা হলে যে কোনো পুঁজিবাদী সমাজে সিভিল সোসাইটি ঐ ব্যবস্থাকে বহাল রাখার বাইরে কিছু করবে না। আবার আপনি বলতে পারেন যে, যদি আপনি পুঁজিবাদী ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করতে চান তবে আপনাকে তা করতে হবে এই সম্মতির জায়গাতে আঘাত হানার মধ্য দিয়েই। প্রকৃতপক্ষে গ্রামসি তাই-ই বলেছেন যখন তিনি সমাজ বদলের কথা বলছেন। তিনি বলছেন যে, বিপ্লবী দল শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে জৈব বুদ্ধিজীবী বা অরগ্যানিক ইন্টেলেকচুয়াল তৈরির পরিস্থিতি তৈরি করবে এবং সিভিল সোসাইটির মধ্যে বিকল্প আধিপত্য বা হেজিমনি তৈরির পথ উন্মুক্ত করবে। তারাই তাঁদের রাজনৈতিক সক্রিয়তার মাধ্যমে, সর্বহারা মানুষের সংস্কৃতিকে প্রসারিত করবে। একে গ্রামসি বলছেন অবস্থানের লড়াই (‘ওয়ার অফ পজিশন’)। এই ধারণার আলোকে বর্তমান পরিস্থিতিতে (ধরা যাক বাংলাদেশের ক্ষেত্রে) আমরা বলতে পারি যে, যারা প্রচলিত ব্যবস্থার ধারণাগুলোকে চ্যালেঞ্জ করছেন, রাষ্ট্র এবং আধিপত্যশীল আদর্শের বিরুদ্ধে সাধারন মানুষের নিত্যদিনের সংগ্রামের পাশে দাঁড়িয়ে বিকল্প ভাবাদর্শকে তুলে ধরছেন তারাই হচ্ছেন জনসমাজের বা সিভিল সোসাইটির অংশ।

সিভিল সোসাইটির দ্বিতীয় ধারনাটি অনেক পুরনো, তবে মার্ক্সের আবির্ভাবের পর এ নিয়ে (গ্রামসি ছাড়া) অন্যরা খুব একটা আলোচনা করেননি। গত তিন দশকে অবশ্য এ নিয়ে নতুন করে আলোচনা লক্ষ করা যাচ্ছে। এই ধারনাটি হল পরিবার, রাষ্ট্র, এবং বাজারের বাইরে সাধারন মানুষেরা তাঁদের অভিন্ন স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে জায়গায় (কেবল ভৌত জায়গা বা ফিজিক্যাল স্পেস নয়, ‘এরেনা’ অর্থে) একত্রিত হন সেটাই হল সিভিল সোসাইটি। আরেকভাবে বললে আমরা বলতে পারি যে, যারা নাগরিকদের স্বার্থ এবং ইচ্ছাকে প্রতিনিধিত্ব করে এবং রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠীর প্রভাবের বাইরে থাকে সেই সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্মিলিত রূপই হল সিভিল সোসাইটি।

লক্ষ করলে দেখবেন যে বাংলাদেশে জনসমাজের যে ধারণা প্রতিষ্ঠা পেয়েছে তা হল এটা উন্নয়ন কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত বা কয়েকজন মধ্যবিত্ত/উচ্চবিত্ত মানুষ তাঁদের পরিচিতির কারনে আলাদা ভাবে ‘সিভিল সোসাইটি’ বলে পরিচিত হবেন; কিন্ত এ ধারণা আসলে জনসমাজের মূল ধারণার সঙ্গে একেবারেই সংগতিপূর্ন নয়। যারা রাজনৈতিক সমাজের অংশ, যারা দলীয় বিবেচনায় তাঁদের বক্তব্য ও কর্মকান্ড পরিচালনা করেন, যারা আর্থিক বিবেচনায় তাঁদের এজেন্ডা নির্ধারন করেন তারা তো একেবারে মৌলিক বিবেচনায়ই নিজেদের সিভিল সোসাইটি বলে দাবি করতে পারেন না। এইরকম যে শ্রেণীটি বাংলাদেশে গড়ে উঠেছে তারা নিজেরাও কিন্ত দাবি করেন না যে তাঁরাই সিভিল সোসাইটি। অন্যপক্ষে তাঁদের এই ধরনের কার্যকলাপের সমালোচনা করতে গিয়ে তাঁদেরকে সমালোচকরা এমন জায়গায় স্থাপন করেন যেখানে তাঁদের থাকার কোনো যোগ্যতাই নেই। এটা রাজনৈতিক শ্রেণীর সদস্যরা খুব আনন্দের সঙ্গে উপভোগ করেন কেননা তাঁরা দেখতে পান যে এই সমালোচনা কার্যত সিভিল সোসাইটি বা জনসমাজের ধারনাকেই নাকচ করে দিচ্ছে। এটা বলা প্রয়োজন যে, জনসমাজের ধারণা কোনো একদল ব্যক্তি, গোষ্ঠি, বা সংগঠনের কাছে ইজারা দেয়া হয়নি। জনসমাজ কেবল তাঁদের কাজের মধ্য দিয়েই জনসমাজ হয়ে ওঠে, টিকে থাকে।

এই জায়গায় এসেই গণতন্ত্রে জনসমাজের প্রয়োজনটা আমাদের মনে করতে হবে। জনসমাজের সবচেয়ে বড় ভূমিকাটি হল জবাবদিহিতার সংস্কৃতি তৈরি করা। জবাবদিহিতা বলতে রাজনৈতিক শ্রেণী সবসময়ই নির্বাচনকে বোঝেন এবং তারা সেটাই বোঝাতে চান। তারা এটাও বলেন জবাবদিহিতার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাই যথেষ্ট – ‘আপনার যদি বক্তব্য থাকে তাহলে সংসদে আসুন’ বলে সবসময়ই উচ্চস্বরে যে সরকারি দল (এখন এবং অতীতে) বলে থাকে তা থেকে প্রমাণিত যে তারা রাজনৈতিক দলের বাইরে আর কোনো স্বাধীন সত্তার ব্যাপারে মোটেই উৎসাহী নয়। তাহলে যারা দলের বাইরে থাকবেন তাঁদের কণ্ঠস্বর আমরা কি ভাবে শুনতে পাবো ? আমরা যদি দেখতে পাই যে নির্বাচিত সরকারের করণীয় কাজে ব্যত্যয় ঘটছে তাহলে আমাদেরকে কি কেবল বিরোধী রাজনীতিবিদদের ওপর নির্ভর করতে হবে? গণতন্ত্রে সকলের কণ্ঠস্বর শোনার উপায়ই হচ্ছে জনসমাজের উপস্থিতি ও শক্তি। এখন আমরা যদি ক্রমাগতভাবে জনসমাজের ধারণাকেই অগ্রহণযোগ্য করে তুলি তবে তা কার অনুকূলে যাবে?

বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস হল এই যে যারাই ক্ষমতায় যান তাঁদের মধ্যেই কর্তৃত্ববাদী প্রবণতা তৈরি হয়। বাংলাদেশের সাংবিধানিক কাঠামো, রাজনৈতিক সংস্কৃতি, দলীয় ব্যবস্থা, নেতৃত্বের ধরণ – সবই এই ধরণের কর্তৃত্ববাদী শাসনের কারণ ও ফলাফল। সেই পটভূমিকায় ক্রমাগতভাবে জনসমাজ বলে পরিচিত একটা বড় অংশ– যেমন সাংবাদিক ও পেশার সংগঠনগুলো – দলীয় মুখপাত্রে পরিণত হয়েছে। ব্যক্তিদের ভূমিকা উল্লেখ করলাম না – কেননা এ বিষয়ে সবাই ভালোভাবে অবগত। এই রকম পরিস্থিতিতে কিছু লোকের অপব্যবহারের কারনে স্বাধীন জনসমাজের ধারনাকেই যদি আমরা বাতিল করে দেই তবে তার পরিণতি ভাল হবে না।

তাহলে করণীয় কি? দেশে সিভিল সোসাইটি বা জনসমাজ বলে পরিচিতদের একটা বড় অংশের এই ধরণের দেউলিয়াপনা এখন সকলের কাছেই স্পষ্ট। তারা যে এখন আর নাগরিকদের স্বার্থ এবং ইচ্ছাকে প্রতিনিধিত্ব করেন না সেটা সত্য, কিন্ত তার অর্থ কিন্ত এই নয় যে সাধারনের প্রয়োজনে ইস্যুর ভিত্তিতে তৃণমূল পর্যায় থেকে চাপ দেবার জন্য আন্দোলন তৈরি হয়না বা তৈরি হওয়া সম্ভব নয়। বিভিন্ন প্রয়োজনে (যেমন ধরুন প্রবল শৈত্য প্রবাহের সময় সামাজিক উদযোগে সাধারনের জন্য বস্ত্র বিতরণ) আমরা জনসমাজের উদযোগ দেখেছি। ২০১১ সালে সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে এ ধরণের একটা আন্দোলনের উদ্ভব হয়েছিল সেটাও অনেকের মনে থাকবে। প্রচলিত রাজনৈতিক শক্তি বা দলের বাইরে সচেতনভাবে যারাই এগিয়ে আসছেন তাঁর শ্রেনী বা পেশার সম্মিলিত স্বার্থের কথা বলতে তাকেই আমরা জনসমাজ বলে চিহ্নিত করবো। যেমনঃ নারী সমাজ তাঁদের অধিকার নিয়ে কথা বললে তাকে জনসমাজের অংশ হিসেবে গণ্য করতে হবে। কৃষক তার উৎপাদন খরচ ও তার উৎপাদনের পণ্যের উপযুক্ত দাম নিয়ে কথা তুললে সে জনসমাজের অংশ হয়ে ওঠে।  তেল-গ্যাস-বিদ্যুত নিয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে নাগরিক স্বার্থের কথা যারা তুলছে তাদেরকে জনসমাজ বা সচেতন নাগরিক সমাজ বলা হবে না কেন ? যারা গার্মেণ্টসের অনিয়ম-অনাচার-বঞ্চনা নিয়ে কথা তুলছে তাদের জনসমাজ না বলার পক্ষে যুক্তি কোথায়? এই যে শিক্ষক সমাজ রাস্তায় নেমেছেন তাদের পেশাগত দাবির জন্য লড়ছেন তাঁরাই কি জনসমাজ নয়?

এগুলো প্রমাণ করে বাংলাদেশ প্রকৃত বিচারে জনসমাজের উপস্থিতি আগেও ছিলো, এখনও রয়েছে। তাঁদের আরো বড় ধরণের সামাজিক আন্দোলনের কাজে যুক্ত করাটাই হচ্ছে এখনকার কাজ। আমাদের প্রয়োজন হল জনসমাজের এই ধারণাকে আরো বেশি করে সামনে নিয়ে আসা, জনসমাজের ধারণাকে বাতিল করে দেয়া নয়। এসব কার্যকলাপ একদিকে জনসমাজের ধারণাকে তার জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করবে অন্যদিকে যারা সিভিল সোসাইটির ধারক বলে নিজেদের ভাবছেন তাদের দেউলিয়াপনা স্পষ্ট হবে। এই বিবেচনায়ই আমি সিভিল সোসাইটি বলতে ‘জনসমাজের’ কথা বলছি, এবং মনে করি যে যারা দলীয় উঞ্ছবৃত্তির বাইরে, ব্যবসায়িক বিবেচনার বাইরে স্বাধীন ভাবে জনস্বার্থে কথা বলছেন, সংগ্রাম করছেন তাঁদের এখন উচ্চকন্ঠে বলা দরকার ‘আমরাই জনসমাজ’ এবং জনসমাজের ধারণাকে যারা কলুষিত করছেন তাঁদের এবং যারা একে বাতিল করে দিতে চাইছেন তাঁদের বিরুদ্ধে একই ভাবে সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন।

প্রথম প্রকাশঃ  প্রথম আলো, ৩০-০১-২০১৩

News Courtesy:

https://kathakata.com/%e0%a6%86%e0%a6%ae%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%87-%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%9c/

An unhandled error has occurred. Reload 🗙